বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্রকে প্রস্রাব ‘খাওয়ালেন’ শিক্ষিকা

ছাত্রকে প্রস্রাব ‘খাওয়ালেন’ শিক্ষিকা

স্বদেশ ডেস্ক:

নওগাঁর ধামইরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে প্রসাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা. শাহানা বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার ছাত্র বলে, ‘‘প্রস্রাবখানায় অনেকে প্রসাবের জন্য অপেক্ষা করছে দেখে আমি স্কুলের ছাদে প্রস্রাব করি। আর এই কারণে ম্যাডাম আমাকে অনেক মারধর করে ও আমার হাতে একটা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বলেন যে, ‘এখানে প্রসাব কর’।’’

ভুক্তভোগী বলেন, ‘‘আমি ভয়ে ভয়ে প্রস্রাব করি। তারপর বলেন, ‘এখন তুই এই প্রস্রাব খা। না খেলে আরও মারব।’ আমি ভয়ে প্রস্রাব খেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা মাকে পুরো ঘটনা বলে দিই।’’

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে অভিভাবকদের জানাবেন। না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক শাহানা অন্যায়ভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে ও প্রস্রাব খাওয়াইছেন। তাহলে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়?’

এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তারা বিদ্যালয় ঘেরাও করেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের ভেতরের দরজা বন্ধ করে দেন। তারা অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. শাহানা বেগম বলেন, ‘আমি রাগ করে বলেছি যে, তুমি ছাদ থেকে কেন প্রসাব করলে? এখন তুমি এই প্রস্রাব খাও বলেছি, কিন্তু নিজে হাতে খাওয়াইনি।’

চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী (ডলার) বলেন, তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না। পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম লাকী, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ইউসুফ বদিউজ্জামান বকুল ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. শাহানা বেগম দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ।

উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ জাহেলিয়াতি যুগের কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। অতি সত্বর দোষী শিক্ষিকার সমুচিত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন বলেন, ‘পুরো ঘটনা শুনেছি। খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877